প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯২৯ খ্রিঃ সন্তোষপুর ME স্কুল হিসাবে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এরপর ১৯৩১ খ্রিঃ সন্তোষপুর আহমদিয়া ইংরেজি স্কুল নামকরণ করার জন্য এলাকার কিছু সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ ভূমি প্রদান করলেও অফিসিয়াল ও আনুষ্ঠানিক নানাবিধ জটিলতায় এটি অন্তোষপুর ME স্কুল নামেই ১৯৫৭ খ্রিঃ পর্যন্ত চলমান থাকে। পরবর্তীতে ১৯৫৮ খ্রিঃ সিলেট এর জালালাবাদ রেঞ্জ এর অনুমতি নিয়ে সন্তোষপুর জুনিয়র স্কুল নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৬৮ খ্রিঃ কুমিল্লা বোর্ডের এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় অনুমতি সাপেক্ষে আজকের সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে । বিদ্যালয়টির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় , ১৯৫৮ খ্রিঃ পূর্বের নথিপত্র খুব একটা পাওয়া যায় নি । তবে ১৯৫৮ খ্রিঃ পর থেকে সকল তথ্য শৃংঙ্খলার সাথে নথিভুক্ত হয় । বিদ্যালয়টির প্রাথমিক অবস্থা খুবই নাজুক বলিয়া জানা যায় । এখানে উল্লেখ্য যে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১ নং ইউনিয়নের ঠিক মধ্যভাগে সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত । এটি পূর্বে পশ্চিম মূখী করে ডাকাতিয়া নদীর পশ্চিম পাড়ে বেপারী বাজার নামক স্থানে অত্যন্ত মনোরোম পরিবেশে অবস্থিত । এটি ১১ নং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্র । প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে বিভিন্ন সময়ে আট জন ব্যাক্তি প্রধান শিক্ষক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন । তবে বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব এস, এম মিজানুর রহমানের দায়িত্ব গ্রহন থেকেই বিদ্যালয়ের ফলাফল সহ অবকাঠামো গত প্রভুত উন্নতি সাধিত হয়। বিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক সহকর্মীদের নিয়ে নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন ।প্রায় পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে পড়ালেখা সহ বিভিন্ন সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীতে কৃতিত্ব অর্জন করে যাচ্ছে।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদ্গঞ্জ উপজেলাধীন সন্তোষপুর গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!

সভাপতির বাণী

image-not-found

১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে চাঁদপুর জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।